স্বপ্নের উড়ান : আইপিএল এর আসরে ইলেকট্রনিক স্কোরার হুগলীর চুঁচুড়ার যুবক

19th August 2020 8:04 am হুগলী
স্বপ্নের উড়ান : আইপিএল এর আসরে ইলেকট্রনিক স্কোরার হুগলীর চুঁচুড়ার যুবক


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : একেই বোধহয় বলে  স্বপ্নের ছক্কা সত্যি হল।গরীব পরিবার থেকে উঠে আসা পাড়ার সামান্য মুদিখানা দোকানে কাজ করা যুবক ক্রিকেটের মহাযজ্ঞ অংশ নিতে পাড়ি দিচ্ছে দুবাই।
১৯ সে সেপ্টেম্বর থেকে আরব আমিরশাহিতে বসছে ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে ঝলমলে আইপিএলের আসর।বিশ্বের সব সেরা ক্রিকেট খেলোয়াররা যেখানে মাঠে চার ছক্কার ফুল ফোটাবে T20 আসরে।আর সেই খেলায় ইলেকট্রনিক স্কোরারের দ্বায়িত্ব পালন করবেন হুগলীর বাসিন্দা সূর্যকান্ত পান্ডা।
আদতে উড়িষ্যার বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন হুগলীর চুঁচুড়া বাসী সূর্য।মুদিখানা দোকানে কাজ করার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলার জন্য চুঁচুড়ায় হুগলী ডিস্ট্রিক্ট স্পোটস্ এ্যাশোসিয়েশানের মাঠে যাতায়াত শুরু তাঁর।ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন সফল হয়নি সংসারের ভার কাঁধে পড়ায়।মুদিখানা দোকানে কাজ করেই সংসার টানা, বোনের বিয়ে দেওয়া সবকিছুই করতে হয়েছে । শত কাজের মধ্যেও মাঠ তাকে টানে। কিন্তু ক্রিকেটার হওয়াতো হয়নি। জেলা ক্রিকেট লিগের স্কোরারের কাজ শুরু করে সূর্য। নিষ্ঠার সঙ্গে সেই কাজ করায় সিএবিতে ডাক পায় সে। গত বছর সিএবি সচিব অভিষেক ডালমিয়া সেরা স্কোরারের পুরস্কার তুলে দেন সূর্যর হাতে। আর এবার করোনা পরিস্থিতি তাকে সুযোগ করে দিলো আরবে গিয়ে আই পি এল স্কোরারের এর দ্বারিত্ব পালনের ।  ১৯ আগস্ট দমদম থেকে বিমানে ব্যাঙ্গালোর সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর এ মাসের ২৭ তারিখ উড়ে যাবে আই পি এল মেগা ইভেন্টে যোগ দিতে।বিশ্বের তাবর তাবর ক্রিকেটারদের কাছ দেখা তাদের চার ছক্কার হিসাব উইকেট নেওয়ার হিসাব রাখতে স্বপ্নের উড়ানে পাড়ি জমাবে সূর্য। এই প্রথম বিদেশ যাত্রা বিমানে চেপে ।  তাই একটু অন্যরকম অনুভুতি কাজ করছে লড়তে জানা সূর্যর।ক্রিকেটার হওয়া হয়নি,তবে মাঠই তাঁর জীবন।আইপিএল মিটিয়ে এসে বিসিসিআই এর স্কোরার হওয়া পরীক্ষায় বসতে চায় চুঁচুড়ার সূর্যকান্ত । ক্রিকেট এর পাশাপাশি ভলিবল খেলতেও ভালবাসেন।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।